ট্রেডিশনাল
মার্কেটিংয়ে অনেক সময় দেখি কোম্পানিগুলো কিছু স্পট বেছে নেয় তারপর সেই স্পটগুলিতে
মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিপনন কর্মকর্তার মাধ্যমে মার্কেটিং করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং
যেহেতু অনলাইন নির্ভর সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনভিত্তিক বা
ইন্টারনেটভিত্তিক কিছু প্ল্যাটফর্ম বা চ্যানেল বেছে নিতে হবে। বিশেষত যারা
আউটসোর্স করেন বা কন্টেন্ট মার্কেটিং করেন তাদের তো ইন্টারনেটভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম
ছাড়া আর কোন জায়গা নেই। তো চলুন দেখে আসা যাক প্ল্যাটফর্মগুলো কি কি!
ওয়েবসাইট
বা ব্লগ হচ্ছে আপনার বা আপনার কোম্পানির একটা ইউনিক আইডেন্টিটি। আজকাল আপনি
একটি কোম্পানি করবেন অথবা আপনার পণ্য বা সেবা বিপনন করবেন কিন্তু ওয়েবসাইট না
থাকলে কি হয়! অথবা আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন
করতে চাইছেন তাহলে তো অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকা জরুরি! বর্তমান
প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে ওয়েবসাইট বা ব্লগ হচ্ছে একটি বিশ্বস্থতার প্রতীক। আপনি
আপনার ওয়েবসাইটে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবেন এতে করে
কাস্টমাররা সহজেই আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে। আর যদি কন্টেন্ট
মার্কেটিং করেন তাহলে ভিউয়ারের চাহিদামত তথ্য উপস্থাপন করবেন। তবে অবশ্যই মনে
রাখবেন গুগল বা সার্চইঞ্জিনে সার্চে প্রথমের দিকে আসতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আপনার
ওয়েবসাইট বা ব্লগের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা ইংরেজীতে সংক্ষেপে যাকে বলে SEO এর কাজ করাতে হবে।
ফেসবুক হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম এবং কার্যকরী
একটি প্ল্যাটফর্ম বা চ্যানেল। বাংলাদেশে বর্তমান ফেসবুক ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৩
কোটির উপরে। ধারণা করা হচ্ছে টিভি বা অন্য কোন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার থেকে
ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং করাটা এখন অনেক কার্যকরী। বাংলাদেশে তো এখন অনেক মানুষ
আছে যারা টিভি দেখার থেকে খবর বা যে কোন বিষয়ে জানতে ফেসবুকে ঢুকেন বা ফেসবুক
ব্রাউজ করেন। অনেকে এখন পণ্য বা সেবা বিপনন করতে অথবা কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে
ফেসবুককেই একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও কন্টেন্ট বা
ভিডিও স্ট্রীমিং ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম। গুগলের পরেই মানুষ এখন কোন কিছু জানতে
বা দেখতে ইউটিউবে সার্চ করে। আপনি আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের
ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। এতে করে সহজেই মানুষ আপনার পণ্য বা সেবা
সম্পর্কে ধারণা পাবে। যারা ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে চান তারা বিভিন্ন ধরণের
ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
লিঙ্কডইন হচ্ছে মূলত প্রোফেশনালদের জন্য একটি সোস্যাল
মিডিয়া। অনেকে আছেন যারা কর্পোরেটদের টার্গেট করে পণ্য বা সেবা বিপনন করেন তারা
লিঙ্কডইনকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নিতে পারেন। অথবা
যারা কর্পোরেটদের টার্গেট করে কন্টেন্ট মার্কেটিং করে থাকেন তারাও লিঙ্কডইনকে
মাধ্যম হিসেবে নিতে পারেন।
ইনস্টাগ্রাম হচ্ছে ফেসবুকেরই মালিকানাধীণ ইমেজ বা ছবি শেয়ারিং
সোস্যাল মিডিয়া। অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন পণ্য বা সেবা নিয়ে ফটোগ্রাফি করে থাকেন
অথবা ইমেজ কন্টেন্ট নিয়ে মার্কেটিং করেন (যেমন গ্রাফিক্স, মূলত ফটোশপ) তাদের জন্য ইনস্টাগ্রাম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা
পার্ফেক্ট মাধ্যম।
টুইটার এরও কিছু সংখ্যক ব্যাবহারকারী বাংলাদেশে আছে। টুইটারেও
নিয়মিত পোস্ট বা মার্কেটিং করলে একটা সময় ভাল ফলোয়ার সমৃদ্ধ একটা প্রোফাইল হলে
সেটিও হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটা অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। মূলত যারা গ্লোবালি
বিজনেস করেন অথবা কন্টেন্ট মার্কেটিং করেন তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভাল
একটা প্ল্যাটফর্ম টুইটার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন