(উপরের ভিডিওটিতে দেখুন বিস্তারিত)
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯
সীমান্তের মিলনমেলা | বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
(উপরের ভিডিওটিতে দেখুন বিস্তারিত)
রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯
বাঙ্গালির পহেলা বৈশাখ ও কৃষকের আত্মহত্যা
![]() |
পহেলা বৈশাখ উদযাপন |
পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে। এবং এটি এখন বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। বৈশাখের এই উদযাপনকে বর্তমানে অনেকেই তুলনা করছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত উৎসব "কার্নিভাল" এর সাথে।
স্বভাবতই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পহেলা বৈশাখের এই উদযাপন শুরু হয়েছিল ঠিক কখন বা কিভাবে? আর কারাই বা এটা শুরু করেছেন?
অনেকেই হয়ত মনে করে থাকেন বাঙ্গালিরা প্রাচীনকাল থেকে আনন্দঘন দিন হিসেবে এই পহেলা বৈশাখের উদযাপন করে আসছেন! কিন্তু তা নয় এর পিছনে লুকিয়ে আছে কৃষক আত্মহত্যার করুণ ইতিহাস।
প্রথমে চলুন জেনে আসি বাংলা বর্ষের শুরুটা হল কিভাবে।
খ্রিস্টীয়, গ্রেগরিয় ও গ্রীক বর্ষপঞ্জির মতই ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্ক ভারতবর্ষে প্রথম বাংলা বর্ষপঞ্জির শুরু করেন। তবে ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ঠিক কত তারিখ থেকে বাংলা বর্ষ গণণা শুরু হয়েছিল এবং কি নামে চালু হয়েছিল সেটির সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি।
তবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের সাথে এই পহেলা বৈশাখ যুক্ত হয় মোগল সম্রাট আকবরের আমল থেকে। যদিও সম্রাট আকবর নিজে বাঙালি ছিলেন না। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। এবং এটি ছিল রাজা শশাংকেরই সেই বর্ষপঞ্জির সংস্করণ মাত্র। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
সম্রাট আকবরের এই বর্ষপঞ্জি চালুর পিছনে লুকিয়ে আছে করুন ইতিহাসটি। মুলত সম্রাট আকবর দুইটি কারণে এই বাংলা বর্ষপঞ্জি চালু করেন।
প্রথমত, আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে, যার কারণে ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ ইং থেকেই গণণা কার্যকর করা হয়।
দ্বিতীয়ত, কৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের বার্ষিক একটা দিন ধার্য, যার কারণে পঞ্জিকার শুরুটা করা হয়েছিল ফসলের মৌসুমিকালকে হিসেব করে এবং এর নাম দেওয়া হয়েছিল "ফসলি সন"। এবং কৃষকদের এই খাজনা দিতে হত পহেলা বৈশাখে।
পহেলা বৈশাখ আসন্ন হলেই কৃষকদের উপর খাজনা দেওয়ার খড়ংগ নেমে আসত। খাজনা দিতে না পারলে কৃষকদের উপর করা হত পাশবিক নির্যাতন।
আবার অনেক কৃষক মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করত। কিন্তু মহাজনরাও পহেলা বৈশাখের দিনটিতে হালখাতার দিন হিসেবে ধার্য করে রাখত।
খাজনা ও ঋণের আর্থিক দুশ্চিন্তায় পহেলা বৈশাখ এলেই অনেক কৃষক আত্মহত্যা করত। সম্রাট আকবর দিনটিকে আনন্দময় হিসেবে সাধারণ প্রজাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও আসলে বাঙ্গালিদের জন্য পহেলা বৈশাখ ছিল বেদনাময় এবং দূঃসহ একটি তারিখ।
শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯
কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিংকে
সহজ ভাষায় বলা যায় ‘মার্কেটিং কন্টেন্ট ডিজিটালি’। আসলে ‘ডিজিটাল’ শব্দটা হচ্ছে
মার্কেটিং এর একটা ধারণা, সহজ ভাষায় বললে একটা এপ্রোচ স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আমরা আসলে কন্টেটেরই মার্কেটিং করছি।
আজকাল মানুষ এড কম
পছন্দ করে। অনেকেই তো ইন্টারনেট ব্রাউজারে এড ব্লকিং সফটওয়্যার দিয়ে এড ব্লক করে
রাখেন। মানুষ যে এড কম পছন্দ করে তার একটা ছোট উদাহরণ হচ্ছে আমরা যখন টেলিভিশন
দেখি যেই চ্যানেলে এড হয় সেই চ্যানেল পরিবর্তন করে অন্য চ্যানেলে চলে যায়।
তাহলে ইন্টারনেটে
আপনার টার্গেটেড কাস্টমারকে কিভাবে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বুঝাবেন কিংবা
আপনার ব্র্যান্ডকে কিভাবে পরিচিত করে তুলবেন অথবা কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে
টার্গেটেড ভিউয়ারদের নিয়ে আসবেন?
এর সহজ সমাধাণ হচ্ছে
কন্টেন্ট মার্কেটিং। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
আপনি ডিজিটাল
চ্যানেলগুলোতে এমনভাবে কন্টেন্ট উপস্থাপন করবেন যেখানে আপনি সরাসরি আপনার পণ্য বা
সেবা কেনার কথা না বলে তথ্যভিত্তিক উপাত্ত তুলে ধরবেন যাতে করে অডিয়েন্সরা সেই
কন্টেন্ট দেখে বা পড়ে আপনার পণ্য বা সেবা কিনতে আগ্রহী হয়। ইংরেজীতে বলা যায় to drive profitable customer action. মানে অডিয়েন্সরা কল টু একশনে যেতে উৎসাহিত হবেন।
এখন এই কন্টেন্ট টেক্সটও হতে পারে, ইমেজও হতে পারে, অডিও হতে পারে কিংবা ভিডিও হতে
পারে। কন্টেন্ট নিয়ে ইন্টারনেটে এই টেকনিকটাই হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং।
বিশেষত
যারা এফিলিয়েট এবং SEO করেন তাদের জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং বিষয়ে জানাটা
জরুরি। কারণ গুগল বা যে কোন সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র কন্টেন্টকেই ক্রাউল করে।
ট্রডিশনাল মার্কেটিং
থেকে এই কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের পার্থক্যটা হচ্ছে, ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ে আপনি
ডাইরেক্ট সেল করছেন আর কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে আপনি ইনডাইরেক্ট সেল করছেন।
ট্রেডিশনাল
মার্কেটিংয়ের ফলাফলটা ক্ষণস্থায়ী। তার মানে আপনি যখন শুধু টাকা দিয়ে এড দিবেন তখনই
সেল হবে, এড শেষ তো সেলও শেষ।
এদিক দিয়ে কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের স্ট্র্যাটেজিটা
স্থায়ী। এখনকার একটা আর্টিকেল পড়ে পাঁচ বছর পরও একজন কেউ আপনার পণ্য বা সেবা কিনতে
পারে। আর কন্টেন্ট মার্কেটিংটা একেবারে সাশ্রয়ী, বেশিরভাগ ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে
তো ফ্রি কন্টেন্ট দিতে পারছেন। আর পাবলিক তো ফ্রি জিনিসই বেশি পছন্দ করে। কন্টেন্ট
ভাল হলে অনেক অডিয়েন্স আবার সেই কন্টেন্টগুলো বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করে
থাকেন। এটা কন্টেন্ট মার্কটিয়ের একটা প্লাস পয়েন্ট।
তবে কন্টেন্ট
মার্কেটিংয়ে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, Marketing is impossible without great content!
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)