না আফগানিস্থান বা ইরাক নয়, এবার ড্রোন (মানুষ্যবিহীন বিমান) চলবে বাংলাদেশ সীমান্তে। ফেলানী হত্যার রক্তের ক্ষতের দাগ এখনো শুকোয়নি তার আগেই সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের পরীক্ষায় বাংলাদেশের সাথে তারা ন্যুন্যতমভাবে পাস হতে পারেনি। সীমান্তে একের পর তারা করে চলেছে নিরীহ মানুষ হত্যা। এখন পর্যন্ত আওয়ামী সরকার ভারতকে এর যথাযথ প্রতিউত্তর দিতে পারেনি। সীমান্তে কড়া নজরদারির জন্য ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রের মতো রাডার, দূরপাল্লার পর্যবেক্ষণ, লাইটভিশনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এবং যথেচ্ছাই বাংলাদেশের সামরিক- বেসামরিক স্থাপনার উপর নজরদারি করে চলেছে যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি। এরপরও ড্রোনের কী প্রয়োজন, তা বোধগম্য নয়। সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন হলে তাদের নজরদারি আমাদের ভূ-খন্ডের আরো ভিতরে ঘটবে। বলাই বাহুল্য সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সেনা ক্যাম্পগুলোতে তারা হারহামেশাই নজরদারি করবে। এরপর তথাকথিত জঙ্গি সন্দেহে তারা হারহামেশাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাঝে মাঝেই ড্রোন হামলা চালাবে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমাদের সার্বভৌমত্ব তথাকথিত বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের কাছে কখনই নিরাপদ নয়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের কোন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ দ্রুত এর প্রতিবাদ করা। না হলে আমাদের মা ও মাটির ইজ্জত ভারতের কাছে আর অক্ষত থাকবেনা!
(১১-০৯-২০১৩)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন