সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আব্বু ও আমি

জানিনা পৃথিবীতে অন্যান্যদের বাবারা কেমন হয়ে থাকে। হয়ত বা আলাদা অথবা ভিন্ন। কিন্তু আমার বাবা আমার কাছে একেবারেই অনন্য! ভালোবাসার শেষ বিন্দু পর্যন্তও আব্বুর ভালোবাসাটা আমার জন্য ভিন্ন রকম।

ফ্রান্স-জিদান এবং আর্জেন্টিনা-ম্যারাডোনা, আব্বুর সাথে খেলার মাঠে এই অমিল ছাড়া জীবনের মাঠে কোনদিন কোন মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়নি। প্রিয় ফুটবলার জিদানের কারণেই আব্বু বরাবরই ফুটবলে ফ্রান্সকে সাপোর্ট করে আর ঈশ্বরের হাতে গোলের কারণে আব্বুর মতে ম্যারাডোনা আদর্শ্চ্যুত হয়েছেন বলেই আর্জেন্টিনার প্রতি এতো অভক্তি। আর আমার সাপোর্ট বরাবরই আর্জেন্টিনা। জীবনে কোন ক্ষেত্রেই আব্বু আমার কোন আশা অপূর্ণ রাখেননি, চেষ্টার সবটুকু দিয়েই আমার আজগুবি সব বায়নাও পূরণ করেছেন সবসময় এবং এখনো করছেন। সন্ধ্যে বেলা আব্বুর কোলে শুয়ে রামায়ান উপাখ্যানের গান শুনে ঘুমানো, একসাথে দুই-তিনটা ক্রিকেট ব্যাট-বলের বায়না সহ প্রকাশ করে শেষ করতে না পারা শত ভালোবাসার স্মৃতিতেও আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তি আমার বাবা। শত দূরত্বেও ভালোবাসার চূড়ায় অস্তিত্বের সংজ্ঞা শুধুই তুমি বাবা। এই শত দূরত্বও তোমার প্রতি অসীম ভালোবাসায় কোন ঢাল নয়। আব্বু তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। 

(১৬-০৯-১৩)

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সীমান্তে ড্রোন ও আমাদের সার্বভৌমত্ব

না আফগানিস্থান বা ইরাক নয়, এবার ড্রোন (মানুষ্যবিহীন বিমান) চলবে বাংলাদেশ সীমান্তে। ফেলানী হত্যার রক্তের ক্ষতের দাগ এখনো শুকোয়নি তার আগেই সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের পরীক্ষায় বাংলাদেশের সাথে তারা ন্যুন্যতমভাবে পাস হতে পারেনি। সীমান্তে একের পর তারা করে চলেছে নিরীহ মানুষ হত্যা। এখন পর্যন্ত আওয়ামী সরকার ভারতকে এর যথাযথ প্রতিউত্তর দিতে পারেনি। সীমান্তে কড়া নজরদারির জন্য ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রের মতো রাডার, দূরপাল্লার পর্যবেক্ষণ, লাইটভিশনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এবং যথেচ্ছাই বাংলাদেশের সামরিক- বেসামরিক স্থাপনার উপর নজরদারি করে চলেছে যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি। এরপরও ড্রোনের কী প্রয়োজন, তা বোধগম্য নয়। সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন হলে তাদের নজরদারি আমাদের ভূ-খন্ডের আরো ভিতরে ঘটবে। বলাই বাহুল্য সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সেনা ক্যাম্পগুলোতে তারা হারহামেশাই নজরদারি করবে। এরপর তথাকথিত জঙ্গি সন্দেহে তারা হারহামেশাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাঝে মাঝেই ড্রোন হামলা চালাবে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমাদের সার্বভৌমত্ব তথাকথিত বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের কাছে কখনই নিরাপদ নয়। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের কোন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ দ্রুত এর প্রতিবাদ করা। না হলে আমাদের মা ও মাটির ইজ্জত ভারতের কাছে আর অক্ষত থাকবেনা!

(১১-০৯-২০১৩)