সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ গণকবর, খুনিয়াদিঘী বধ্যভূমি

 

                                                  উত্তরবংগের সর্বৃহৎ গণকবর


ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রানীশংকৈল উপজেলায় খুনিয়াদিঘি বধ্যভূমির অবস্থান। জেলা সদর থেকে দুই পথে খুনিয়াদিঘি বধ্যভূমিতে যাওয়া যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থেকে বালিয়াডাংগী উপজেলা হয়ে অথবা আপনি ইচ্ছা করলে ঠাকুরগাঁও সদর থেকে পীরগঞ্জ উপজেলা হয়েও রানীশংকৈল উপজেলার খুনিয়াদিঘি বধ্যভূমিতে যেতে পারেন। এ যাত্রায় মোটরবাইক যোগে আমার ভ্রমণ সঙ্গী হয়েছে ভ্রমণ পিপাসু  আমার  তিন বন্ধু এন সি দাস, বিপু বিশ্বাস ও জুয়েল রানা মাসুদ।

উত্তরবংগের এই শান্ত নীরব জনপদ চিড়ে ঝকঝকে পিচঢালা পাকা রাস্তায় আপনি খুঁজে পাবেন উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। ফুরফুরে হিমেল বাতাসে আস্বাদিত হবেন স্বাধীণতার স্বাদে, যে স্বাধীণতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এ দেশের লাখো শহীদ।  

রাস্তার দুই ধারের দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠ, কৃষকের কর্মযজ্ঞ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিমোহিত করবে আপনাকে। এ দৃশ্য দেখে নিশ্চয় আপনার মঞ্জুর হাসানের 'আমি প্রকৃতি হব' কবিতার দুটি লাইন আবৃতি করতে ইচ্ছে করবে-

'আমি পিপীলিকার মত অনন্তকাল হাঁটব
আমি উদাস কবির মত পথে প্রান্তরে ঘুরব
আমি প্রকৃতি হব'

রাণীশংকৈল উপজেলা সদরের শিবদিঘি মোড়ে পৌঁছালেই  চোখে পরবে একটি নামফলক । এই নাম ফলকে উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও অবস্থান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আছে প্রত্যেকটি স্থানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও।

নামফলক থেকে ১০০ মিটার পশ্চিমে গেলেই চোখে পরবে পুলিশ থানা কর্যালয়ের সাইনবোর্ড। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বর্তমান ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী হরিপুর,বালিয়াডাঙ্গী,রানীশংকৈল উপজেলা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী এই থানা চত্তরে ক্যাম্প স্থাপন করেছিলপ্রতিদিন শত শত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের লোকদের ধরে আনা হতো এই ক্যাম্পে।

থানা কার্যালয় থেকে সোজা দক্ষিণের রাস্তা বেয়ে এবারে আমাদের গন্তব্য খুনিয়াদিঘি বধ্যভূমিতে।

প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা অতিক্রম করলেই রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে পুকুর পাড়ে চোখে পরবে একটি চৌকঠ অবকাঠামো।

এই চৌকঠ অবকাঠামোর ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পরবে এই বধ্যভূমিতে শায়িত শহীদদের স্বরণে নির্মিত মূল স্মৃতিস্তম্ভটি।  

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে জাতীয় চার নেতার মধ্যে অন্যতম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এই স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করেন।

এবার আসা যাক এই দিঘির নামকরণের ইতিহাস নিয়েপ্রচলিত আছে, প্রায় দুইশত বছর আগে স্থানীয় এক জমিদার ৬ একরের বিশাল এই দীঘিটি খনন করেন। এই এলাকার ব্যবসায়ীরা নির্জন ও জঙ্গলাকীর্ণ দীঘির পাশ দিয়েই ব্যবসা করতে যেতেন ভারতের রায়গঞ্জে। একবার কে বা কারা এক ব্যবসায়ীকে খুন করে দীঘির পাড়ে ফেলে রেখেছিল। তখন থেকে এই দীঘির নাম হয়ে যায় খুনিয়া দীঘি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার ক্যাম্পে সারাদিন নির্যাতনের পর ভোররাতে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোকদের ধরে নিয়ে আসা হত এই পুকুরের পাড়ে। দীঘি পাড়ের শিমুল গাছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতের তালুতে লোহার পেরেক মেরে ঝুলিয়ে রেখে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এবং গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করতো। কখনো কখনো হত্যার পূর্বে লোকজনকে কবর খুঁড়তে বাধ্য করতো। হত্যার পরে দীঘি পাড়ের উঁচু জমিতে মাটি চাপা দিতো পাক হানাদাররা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি, রাজাকার,আলবদর আর আলশামসদের সহায়তায় ২০০০  থেকে ৩০০০  মানুষকে খুনিয়া দীঘিতে হত্যা করা হয়এর ফলে মানুষের রক্তে দীঘির পানির রং হয়ে যায় ঘন খয়েরি। রক্ত,লাশ,কঙ্কালে ভরপুর খুনিয়া দীঘি নামটি আরো সার্থক হয়ে উঠে।

শহীদদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখতে পুকুরের দক্ষিণপাড়ে নির্মিত হয়েছে নতুন একটি স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতিস্তম্ভের মূল ফটকের পাশেই নাম ফলকে সংযুক্ত করা হয়েছে কয়েকজন শহীদের নাম। নতুন প্রজন্মের কাছে এই সৌধ তুলে ধরছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসশহীদদের আত্মত্যাগ প্রেরণা জোগাচ্ছে এই প্রজন্মকে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙানো স্মৃতিসৌধটি খুনিয়া দিঘিতে ৭১এর জলন্ত প্রতীক হয়ে বাংলার স্বাধীনতা আজও বহন করছে।  দীর্ঘ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

দেশ প্রেম বুকে নিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি।  সেই সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা 




বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

জ্বীনের তৈরি মাত্র এক কাতারের গায়েবি মসজিদ!


এক কাতারের গায়েবি মসজিদ 

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার উত্তরে শান্ত-নীরব একটি গ্রামে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি অতি পুরাতন মসজিদ।
গ্রামের নাম মেদনী সাগর তাই মসজিদটি এখন মেদনী সাগর জামে মসজিদ নামেই অভিহিত।

তবে স্থানীয়দের কাছে এই মসজিদটির একটি ভিন্ন পরিচিতি আছে। স্থানীয়দের মাঝে এই মসজিদ নিয়ে  একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, কোন এক সময় এক রাতেই হঠাৎ করে জ্বীনেরা এই মসজিদ নির্মান করেছিল। তাই মসজিদটিকে গায়েবি মসজিদও বলে থাকেন অনেকে। 



মসজিদটির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে এর কাতার ধারণ ক্ষমতা মাত্র একটি এবং এই এক কাতারে  প্রায় ৩০ জন মুসুল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।



তবে মসজিদটির নির্মাণে মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলী বিদ্যমান। ধারণা করা হয় মোঘল আমলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে যেসব পীর -আউলিয়া এই বংগে এসেছিলেন তাদের মধ্যে কারো প্রচেষ্টায় এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি ছোট হলেও এর নিখুত নির্মান অত্যন্ত রুচিশীল ও সৌখিন।

বাইরের দিক থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য সাড়ে একত্রিশ ফুট এবং প্রস্থ চৌদ্দ ফুট ভিতরের দিকে এর দৈর্ঘ্য চবিবশ ফুট এবং প্রস্থ ছয় ফুট


কাতারের দুই পাশে রয়েছে দুটি জানালা।

যথারীতি মসজিদটিতে ইমামের জন্য রয়েছে মিম্বার ও মেহরাব। 

ভিতরে গোলাকৃতি গম্বুজগুলোর অবয়ব দৃশ্যমান। একটি গম্বুজ থেকে আরেকটি গম্বুজের মাঝের অংশগুলোতে রয়েছে বিশেষ বিম। 

রয়েছে আটটি কুলুঙ্গি তিনটি খিলান। তবে বর্তমানে ভিতরের দেওয়ালসহ এগুলো টাইলস দিয়ে আবৃত। 

তবে কাতার একটি হলেও মসজিদটিতে প্রবেশের জন্য দরজা আছে তিনটি। 

মসজিদটির উপরের অংশে রয়েছে তিনটি গম্বুজ ও পূর্ব-পশ্চিমে ৪টি করে  ৮ টি মিনার সদৃশ্য বুরুজ। গম্বুজ ৩টি ছাদ থেকে প্রায় ১০ ফুটউচ্চতা বিশিষ্ট। ভূমি থেকে প্রতিটি বুরুজের উচ্চতা ১০ফুট। 

সময়ের প্রয়োজনে মুসুল্লির ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে মূল মসজিদকে সংযুক্ত করেই সম্প্রসারিত করা হয়েছে এখন মসজিদের সামনের অংশটি। 

যুগ যুগ ধরে এই ছোট মসজিদটিই উপমহাদেশে ইসলাম বিস্তারের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। হয়ত আরো শত শত প্রজন্মের কাছেও সাক্ষী হয়ে থাকবে। 

শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২০

সীমান্তে কালীপূজা ও ভারত- বাংলাদেশ মিলনমেলা


ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তঘেঁষা শান্ত জনপদ হরিপুর উপজেলা।  এই উপজেলার গোবিন্দপুর সীমান্তে প্রতি বছর জামরকালির পূজা উপলক্ষ্যে এক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা এই মেলাকে পাথরকালির মেলা হিসেবেই অভিহিত করেন। মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণ সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ মিলিত  হয়ে সীমান্তের মিলনমেলা ঘটায়।

x

সাধারণত কার্তিক মাসের আমাবষ্যা তিথীতে কালিপূজা হলেও এখানে মেলা বসে আগ্রহায়নে কৃষকেরা আমন ধান ঘরে তোলার পর।  মেলা প্রাঙণের আশেপাশে ধান ক্ষেতের ক্ষতি এড়াতেই এই সময়টায় মেলার আয়োজন করে আয়োজকরা।  

মেলাপ্রাঙ্গণ মুখরিত হয় নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরগমে। শুধু স্থানীয়রা নয় বিভিন্ন বাহনযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে এখানে । 

মেলা মানেই হরেক রকম খাবারের সমাহার। মুখরোচক বিভিন্ন পদের আচার, গুড়ের জিলাপী ও বিভিন্ন মিষ্টির দোকানি পশরা সাজান এই মেলায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ফলফলাদি, বাড়ির প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র ও কাপড়-চোপড়ের দোকানও বসে এই মেলায়। 

মেলায় বিনোদনের জন্য থাকে  শিশুদের নাগরদোলা। শামুক-ঝিনুকের কারুকার্যমন্ডিত মালা ও বিভিন্ন শো পিচও শোভা পায় এখানে।  থাকে নারী ও পুরুষের বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী। মেলায় থাকে বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্র ও হরেক রকম বাঁশির দোকান। 

সমঅধিকারের এই যুগে পুরুষ বিক্রেতার পাশাপাশি মেলায় থাকে মহিলা বিক্রেতাও।

যেহেতু জামরকালির পূজাকে কেন্দ্র করে এই মেলা হিন্দু ধর্মালম্বের পূণ্যার্থীরা মেলার ফাঁকেই সেরে নেন পূজো। ঢাকি ও সানাই বাদকের এই সুর পূন্যার্থীদের পূজা অর্পনকে করে তুলে শুভ্র ও প্রানবন্ত।

পাঠা বলি কালিপুজার অন্যতম অনুষঙ্গ। মানতকারিরা কালির সামনে বলির জন্য নিয়ে আসেন পাঠা।

এই জামরকালি  পূজার সঠিক ইতিহাস  জানা না গেলেও ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের আগে থেকেই দুই দেশের স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এই কালির পূজা করে আসছেন। আগে এখানে পাথরের এক কালি মূর্তি ছিল তাই স্থানীয়রা এই মেলাকে পাথরকালির মেলা হিসেবেই অবিহিত করেন।  

মেলার পাশেই ছোট নদী কুলিক। মূলত এই নদীর পাড়েই মেলাপ্রাঙ্গণ। আর এই নদীই এখানে সীমান্ত হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশকে বিভক্ত করেছে। দর্শনার্থীদের মূলত উদ্যেশ্য নদী পার হয়ে কাটাতারের বেড়ার পাশে যাওয়া। স্থানীয়রা এদিন দর্শনার্থীদের নদী পারাপারের জন্য বাঁশ বা কাঠ দিয়ে তৈরী করেন অস্থায়ী সাঁকো। স্থানীয় ভাষায় এই অস্থায়ী সাঁকোকে বলা হয় 'ধারা'। তবে সাঁকো দিয়ে পারাপারের জন্য দর্শনার্থীদের প্রতিজনে দিতে হয় দশ টাকা করে।  

নদী পার হলেই বিভাজনকারী সীমান্ত পিলার। সীমানা পিলার পার হয়ে প্রায় ২০০ মিটার নো ম্যান ল্যান্ডসের ভূমি পার হলেই পৌঁছানো যাবে কাটা তারের বেড়ার পাশে। অন্যদিন সীমান্তের এই জায়গায় প্রবেশ নিষেধ থাকলেও দুই দেশের সীমান্তবাহিনীর সমঝোতায় এই দিনে এই অবাঞ্চিত প্রবেশে নেই বাঁধা। 



কাঁটাতারের পাশে পৌঁছালেই সবাই হণ্যে হয়ে খুঁজে সীমান্তের ওপারের প্রিয় মুখটি। প্রিয়জনদের সাথে এই সাক্ষাত ও আবেগের কথোপকথন হয়ত টাকার অংকে অমূল্য। 

দুই ধারেই নামে অসংখ্য মানুষের ঢল। কেউ বা প্রিয়জনকে একটুখানি দেখার জন্য, কেউ বা আসে এই সীমান্তের মিলনমেলা দেখতে। শুধু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নয় ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকেও হাজার হাজার মানুষ আসে রায়গঞ্জ জেলার এই বিন্দোল সীমান্তে। 



অনেকেই ডিজিটাল ডিভাইস বা ক্যামেরায়  প্রিয়জনের স্মৃতি ধারণ করে রাখেন এখানে। 


শুধু কথোপকথন বা আবেগের বিনিময় নয়, প্রিয়জনদের  সাথে বিনিময় হয় প্রিয়জনদের প্রিয় জিনিসিও।  তবে জিনিস বিনিময়ে কাঁটাতারের কারণে বিড়ম্বনাও কম নয়। 

ওপারের মানুষদের ইলিশ খুব প্রিয় তাই এপার থেকে ইলিশ বেচাকেনাও চলে হরদম। 

লাখো মানুষের পদচারনায় বছরের এই দিনটিতে সীমান্তের এই অঞ্চলটি হয়ে উঠে প্রানবন্ত। কেউ বা শিকড়ের খোঁজে কেউ বা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়ায় প্রিয়জনদের একটুখানি দেখার জন্য। 

কাঁতা তারের এই বেড়াটি দুই দেশের ভূমিকে আলাদা করলেও আলাদা করতে পারেনি দুই দেশের মানুষের আবেগকে, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ককে। 


দিনশেষে সবাইকে ফিরতে হয় আবার নিজ গন্তব্যে।প্রিয়জনদের সাথে মিলিয়ে থাকা এই আবেগ, এই অনূভুতি সীমান্তে মিলিয়ে যায় সীমানাহীনভাবে।