প্রথাগত
হাস-মুরগির খামারের পাশাপাশি গড়ে উঠছে এখন পাখির খামার। দেশে
যখন কর্মসংস্থানের অভাব তখন তরুণ উদ্যোমীরা বেছে নিচ্ছে এই ব্যাতিক্রমী পেশা।
তেমনই একজন তুহিন পারভেজ সুজন। ঠাকুরগাঁও জেলার
হরিপুর উপজেলার এই তরুণ স্বল্প পরিসরে গড়ে তুলেছেন পাখির খামার। শখের বসে শুরু করলেও এটি এখন
বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করেন তিনি।
খামারে
তিনি প্রতিপালন করছেন কোয়েল পাখি। কয়েল পাখি প্রচুর পরিমানে ডিম দিয়ে থাকে। তাছাড়াও
এই পাখির ডিম ও মাংসের প্রচুর চাহিদা আছে বাজারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়ায় এই পাখিটি ঝামেলাহীন
ভাবেই প্রতিপালন করা যায়।
লাভ
বার্ড। দেখতে সুন্দর এই পাখিটি মূলত অনেকেই শখের বসে পোষে থাকেন । তবে বাজারে লাভ
বার্ডের প্রচুর দাম ও চাহিদা আছে। দেশি ও বিদেশি কয়েকটি প্রজাতির লাভ বার্ড
প্রতিপালন করছেন তুহিন পারভেজ। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়ায় এই পাখিটিও প্রতিপালন
করা যায়।
ঘুঘু।
দেশিয় এই পাখিটিও এখন খামারে প্রতিপালন হচ্ছে। প্রচুর
পরিমানে ডিম ও মাংস উৎপাদনে যেমনি ঘুঘুর আছে অনেক সক্ষমতা তেমনি বাজারে এর চাহিদাও
আছে প্রচুর।
কবুতর।
যদিও অনেকে এই পাখিটি শখের বসে প্রতিপালন করে থাকেন তবে এখন এটি বাণিজ্যিকভাবেও
প্রতিপালন হচ্ছে। কবুতরের রয়েছে বিভিন্ন প্রকার দেশি ও বিদেশি জাত
এবং এই পাখিটিও প্রচুর পরিমানে ডিম ও মাংস প্রদানে সক্ষম।
এসব
পাখি প্রতিপালনের পাশাপাশি তুহিন পারভেজ করছেন টার্কি মুরগি, রাজহাঁস ও পাতিহাঁস প্রতিপালন।
শখের
বসে করেন টিয়া ও খরগোশ প্রতিপালন। সবসময় আপন
মমতায় আগলে রাখেন প্রাণীগুলোকে।
এসব
পাখি প্রতিপালনে পাখির বাসস্থান হিসেবে তুহিন পারভেজ ব্যাবহার করছেন দেশিয় তারের তৈরী নেট, তারের খাঁচা, বাঁশ, মাটি
ও কাঠের তৈরি বিভিন্ন উপকরণ।
খাবার
হিসেবে দেশিয় বাজারে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরণের ফিড খাওয়ান এসব পাখিদের।
বেকারত্ব
দূরীকরণে পাখির খামার হয়ে উঠতে পারে অন্যতম আয়ের উৎস। তবে খেয়াল রাখতে হবে এতে করে
যেন জীববৈচিত্রের কোন প্রকার ক্ষতি না হয়।