ট্রেডিশনাল
মার্কেটিংয়ে আমরা কি কখনও দেখেছি মার্কেটাররা বা মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টিটিভরা
সরাসরি কাউকে কি বলে যে, ভাই এই প্রোডাক্টটি খুব ভাল নেন! নিশ্চয় না। প্রোডাক্টটি কাউকে
নেওয়ার কথা বলার আগে রিপ্রেজেন্টিটিভরা আগে সেই পণ্যের গুনাগুন বলে, পণ্যটি আপনার
কি উপকারে আসবে সেই কথা বলে, বিভিন্ন ফিচারের কথা বলে। তারপর পণ্যটি নেওয়ার কথা বলে। ডিজিটাল
মার্কেটিংয়েও আপনি কাউকে ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে আপনার পণ্য বা সেবা নেওয়ার কথা
সরাসরি বলতে পারবেন না। আর গুগল বা যে কোন সার্চ ইঞ্জিন তো কখনই এমনি এমনি আপনার
ওয়েবসাইটে কোন ইউজারকে রেফার করবেনা। হ্যাঁ, এ জন্য প্রয়োজন কন্টেন্ট। বিশেষ করে
যারা SEO, এফিলিয়েট মার্কেটিং বা গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ
করেন তাদের জন্য তো এই কন্টেন্ট খুবই জরুরি!
এখন প্রশ্ন আসে
কন্টেন্ট কি? এক কথাই যদি বলি কন্টেন্ট হচ্ছে ডিজিটাল চ্যানেলগুলোতে উপস্থাপন বা
পোস্টিং এর রসদ বা মেটেরিয়াল। আরো ভালভাবে বললে কন্টেন্ট হচ্ছে আপনার পণ্য বা সেবা
এবং নির্দিষ্ট কোন কী ওয়ার্ডের বিস্তারিত উপস্থাপন। আপনি যদি কোন পণ্য বিক্রি করতে
চান তাহলে সেই পণ্যের সুবিধা অসুবিধা, গুণাগুণ তুলে ধরবেন। আপনি যদি কোন সেবাদাতা
হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিভাবে সেবা প্রদান করে থাকেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে
ধরবেন। অথবা আপনি যদি এফিলিয়েট অথবা ব্লগিং করেন তাহলে যেই কী ওয়ার্ড নিয়ে কাজ
করেন সেই কী ওয়ার্ডের বিষয়বস্তু তুলে ধরবেন।
এখন আসা যাক কন্টেন্ট
কি কি ধরণের হতে পারে। কন্টেন্ট সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।
১.
টেক্সট- টেক্সট কন্টেন্ট
হচ্ছে আপনি যা লেখে বা টাইপ করে বুঝাতে পারেন। ধরুন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে
বিস্তারিত লিখলেন। অথবা নির্দিষ্ট কোন কী ওয়ার্ড নিয়ে লেখে বা টাইপ করে তথ্য
উপস্থাপন করলেন।
২.ইমেজ
বা ছবি- ধরুন আপনি আপনার
পণ্যের বা সেবার কোন ডিজিটাল চ্যানেলে ফটোগ্রাফি তুলে ধরলেন। অথবা কোন তথ্যের একটা
গ্রাফিক্যাল ভিউ তুলে ধরলেন। এটাই হচ্ছে ইমেজ কন্টেন্ট।
৩. অডিও- অডিও কন্টেন্ট হচ্ছে কোন কিছু বলে বা সাউন্ড
দিয়ে বোঝানো। এই যে আমি বলে বোঝাচ্ছি এটাই অডিও কন্টেন্ট। অথবা কোন মিউজিক বা গানও
অডিও কন্টেন্টের মধ্যে পরে।
৪.ভিডিও- এই যে আমি ইউটিউবে ভিডিওটি আপলোড করে কন্টেন্ট
সম্পর্কে আপনাদের বোঝাচ্ছি এটাই একটা ভিডিও কন্টেন্ট।