সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

পরিবেশ ও আমাদের দায়িত্ববোধ

দূষণ
সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লোভ ও অসততার পাশাপাশি দায়িত্ববোধের অভাব মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এর আরেকটি নগ্ন নজির জলবায়ু প্রকল্পের লুণ্ঠন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনে যে কয়টি রাষ্ট্রের মানুষ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। এমন সতর্কবাণী সাম্প্রতিককালে স্বাভাবিকভাবেই এ দেশে উদ্বেগ ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তাই সম্ভাব্য বিপদ মোকাবেলার জন্য সরকার, এনজিও, পরিবেশবিদদের তোড়জোড়ের অন্ত নেই। সম্ভাব্য জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যদিও এই বরাদ্দগুলো কষ্ট করে বাংলাদেশ সরকারের ফান্ড থেকে দেওয়া হচ্ছে না দেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং উন্নত দেশগুলোর সহায়তায়। দেখা যাচ্ছে, সে খাতেও বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে। এমনিতেই প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে থাকে। চিন্তাটা দূর্নীতি নিয়েই শুধু নয়। চিন্তা  হচ্ছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে। এমনিতেই আমাদের পরিবেশটা দিন দিন অসাস্থ্যকর হয়ে যাচ্ছে। বর্জ্য ব্যাবস্থাপনাতেও নেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ, এতে করে আবহাওয়ার বৈরিতা তো দেখা যাচ্ছেই তার সাথে দেখা যাচ্ছে আশপাশের পরিবেশ নোংরা হয়ে যাওয়ার কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের বাতাসে ধুলি ও সিসার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই রকম চলতে থাকলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়ে যাবে রুগ্ন ও কার্যক্ষমতাবিহীন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত অন্তত আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে জলবায়ু প্রকল্পের গৃহিত প্রকল্পগুলো সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করা।

ঢাকা, ০১-১২-২০১৪ ইং