
আমাদের
রাজনৈতিক বিবর্তন ধারা চলে আসছে স্বাধীণতা পূর্ববর্তী সময় থেকে,
কমিউনিজমেরও উত্থান সেই স্বাধীণতার পূর্ববর্তী সময়ে যার বাহক বামপন্থী
দলগুলো। চিরাচরিত রাজনৈতিক ধারায় পার্থক্য শুধু একটাই বামপন্থীদের সুস্পষ্ট
সাম্যবাদী নীতি আর চিরাচরিত রাজনৈতিক ধারার দলগুলোর অস্পষ্ট পুঁজিবাদী
নীতি। তবে এখন সাম্যবাদীদের পুজিবাদীদের প্রতি কিছু নৈতিক সমর্থনে
স্পষ্টভাবে বলা যায় সাম্যবাদী আর পুঁজিবাদী এখন এক ঘাটে জল খায়। স্বাধীণতা
পরবর্তী সময়ে পুজিবাদীদের কিছু নীতি সাম্যবাদীদের প্রতি কিছু নৈতিক সমর্থনও
স্পষ্টভাবে লক্ষ্যণীয়। শুধু শাসন ব্যাবস্থায় নয় কিছু চেতনাও এখন
পুঁজিবাদীরা সাম্যবাদীদের কাছে ধার করে নিয়েছে। তবে তা খালি চোখে হুজুগে
মনে হলেও সাম্যবাদী বা বামপন্থীদের কাছে তা তাদের অর্জন বলেই গণ্য।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমাদের বাঙ্গালীদের মূল চেতনা বাংলাদেশের স্বাধীণতা
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীণতায় বামপন্থীদের অবদান বেশি হলেও তাদের মাঝে সেই
চেতনা কতটা উজ্জল তার প্রশ্ন থেকেই যায়। কথাগুলো বলার মূল কারণ হল বর্তমান
প্রজন্মের বামপন্থীদের বিপ্লবী চেতনার মূল ধারক হল আর্জেন্টিনার বিপ্লবী
নেতা চে গুয়েভার, কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় বাঙ্গালীর স্বাধীণতার চেতনায় বেড়ে
উঠা আমাদের বর্তমান প্রজন্মও আমাদের স্বাধীণতার চেতনার বিপ্লবী ধারক সাত জন
বীরশ্রেষ্ঠকেও উপেক্ষা করে বিপ্লবী চেতনার মূল ধারক হিসেবে বেছে নিয়েছে চে
গুয়েভারকে। তাই তো আজ গেঞ্জি, টি শার্ট, মাথার ব্যান্ডে বিপ্লবী চেতনার
ধারক হিসেবে চে গুয়েভারের ছবি! আমি বলছিনা যে, চে গুয়েভারের সাথে আমাদের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ তুলনীয়, চে গুয়েভারা একজন বিপ্লবী চেতনার আন্তর্জাতিক নেতা, তার কৃতিত্ত্ব তার জায়গায় তাকে অধীষ্ট করে রেখেছে আমাদের বিপ্লবী চেতনার ধারক সাতজন
বীরশ্রেষ্টের বিপ্লবী চেতনা কি অধরায় থেকে গেল?